বরিশাল বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৫৫ জন। আর এই সময়ের মধ্যে শনাক্তের চারগুণের বেশি এক হাজার ৯৬ জন সুস্থতা লাভ করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে দুজন এবং ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে বরিশালে দুজন, পটুয়াখালীতে একজন, ভোলায় একজন ও বরগুনায় দুজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০৬ জনে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫ জন।
এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫৯৭ জনে। আর এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৬ জন, যা নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২৬ হাজার ২৪২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ১১০ জন নিয়ে মোট ১৭ হাজার ৬৩ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৪৮ জন নিয়ে মোট পাঁচ হাজার ৭১৭ জন, ভোলায় নতুন ৪৮ জনসহ মোট পাঁচ হাজার ৮৩১ জন, পিরোজপুরে নতুন ১৩ জনসহ মোট পাঁচ হাজার ১২ জন
, বরগুনায় নতুন ২৭ জনসহ মোট তিন হাজার ৫৪৫ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন নয়জন নিয়ে মোট চার হাজার ৪২৯ জন রয়েছেন। এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে দুজনের এবং করোনা ওয়ার্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৯১৯ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৯১৯ জনের মধ্যে ৬৪ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি। ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৫ ও করোনা ওয়ার্ডে ১৬ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৭০ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৬২ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১০৮ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।